Menu

Saturday, 22 June 2024

নাগরিক সেবায় বিড়ম্বনা:


আমাদের দেশের মানুষ প্রতিনিয়তই সরকারি নানাবিধ সেবা নিতে গিয়ে নানারকম হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। আর ম্যাজরিটি ক্ষেত্রে এই হয়রানির কারন হচ্ছে তথ্য ব্যাবস্থাপনা। বানান ভুল, নামে ভুল, ছবি ভুল, নাম্বার ভুল, শুধু ভুল আর ভুল!

আমরা যদি এই ভুলের ভিসিয়াস সাইকেল থেকে মুক্তি পেতে চাই তাহলে কিছু ব্যাবস্থা নিলেই চলবে:

১. প্রত্যেক হাসপাতালে একটি করে শিশু নিবন্ধন সেল থাকবে। তাদের কাজ হবে শিশুর জন্ম তারিখ, নাম, ঠিকানা, পিতা-মাতার পরিচয়, রক্তের গ্রুপ এগুলো কালেক্ট করে একটি বার্থ সার্টিফিকেট প্রদান করা। এই সকল তথ্য একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেজে স্টোর করে রাখা হবে।

২. যখন শিশুর বয়স ১৮ হবে তখন সেন্ট্রাল সার্ভার থেকে তার অভিভাবকের নাম্বারে একটি মেসেজ যাবে বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের জন্য। এরপর নির্দিষ্ট তারিখে বায়োমেট্রিক নেওয়া হয়ে গেলে সেই তথ্যগুলো সেই একই সার্ভারে যোগ হবে এবং সেই শিশুর (এখন একজন ব্যক্তি) একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি হবে যেখানে তার সমস্ত তথ্য থাকবে।

৩. এরপর সেই ব্যক্তির যতরকমের লাইসেন্স, সার্টিফিকেট যা কিছুই তৈরি হবে সবকিছুই ঐ সেন্ট্রাল ডাটাবেজের সাথে কানেক্টেড থাকবে।

৪. সেই ব্যাক্তি কোনো জবে জয়েন করলে সেই তথ্যও সেখানে থাকবে। তার নামে কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকলে সেগুলোও ঐখানে ডকুমেন্টেড হবে।

৫. তার বোর্ডের সকল রেজাল্ট গুলোও সেখানে কানেক্টেড থাকবে।

৬. এভাবে একটা ডাটাবেজ বানাতে পারলে, একটি ক্লিকেই একজন নাগরিকের সমস্ত তথ্য বের করা যাবে। প্রত্যেক সরকারি অফিসে সেই ডাটাবেজের একটা ক্লায়েন্ট এন্ডের ইউজার অ্যাপ থাকবে, যার মাধ্যমে তার সমস্ত তথ্য বের করা যাবে। বার বার ডাটা এন্ট্রি নিতে হবে না। ফলে অনাকাঙ্খিত কোনো ভুল হবে না।

৭. এর আরেকটা উপকারিতা হবে সিটিজেন ক্রেডিট স্কোর, যা একজন ব্যক্তিকে লোন দেওয়া কতটা ভায়েবল, তার দাড়া কোনো ক্রাইম করার সম্ভাবনা আছে কিনা সব প্রেডিক্ট করা যাবে।

৮. এভাবে একজন নাগরিকের সকল প্রকার ডকুমেন্টস তৈরিতে আর কোনো হেসেল থাকবে না। পাসপোর্ট তৈরিতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ দুই দিন।

৯. এর মাধ্যমে ভুয়া নাগরিক সনাক্ত করাও সহজ হয়ে যাবে। এবং ক্রিমিনাল দের ধরাও ইজি হবে।

১০. একজন ব্যক্তি যত রকমের ডিভাইস কিনবে সেগুলোও সেই ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে কেউ কারো জিনিস চুরি করতে পারবেনা। ফোন, ল্যাপটপ এগুলো চুরি একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। একজন ব্যক্তির নামে যত রকমের প্রোপার্টি থাকবে, তাও সেখানে ডকুমেন্টেড থাকবে (উইথ ম্যাপ)।

১১. যখন কেউ মৃত্যু বরন করবে, তখন তার ডেথ সার্টিফিকেটও সেই ডাটাবেজে যুক্ত হবে পরীক্ষা নীরিক্ষার পর।

১২. এভাবে আমরা সবার ফ্যামিলি ট্রি তৈরী করে ফেলতে পারব। এবং কেউ মারা গেলে উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তির ভাগ নিয়েও আর কোনো ঝামেলা থাকবেনা।

I think it is feasible, and the life of the citizens will be changed forever and for the better!

Find me on: YouTubeInstagramFacebookSoundCloudX.COM


















No comments:

Post a Comment